সুস্থ কিডনির লক্ষণ 2023

কিডনি হলো মেরুদণ্ডের দু পাশে এবং পাঁজরের নিচে অবস্থিত দুটি শিমের মতো দেখতে এমন অঙ্গ। কিডনি দেহ থেকে বর্জ্য, টক্সিন ও অতিরিক্ত তরল বের করে দেয়া এবং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রনের মতো গুরুত্বপূর্ন কাজ করে থাকে। সুস্থ্য কিডনি সর্বোপরি সুস্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার জন্য জরুরি। তবে যখন কিডনি রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে তখন এটি ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং এর ফলে নানারকম স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দেয়। তাই কিডনি সুস্থ্য আছে এবং ঠিকমতো কাজ করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ন।

এই আলোচনায় আমরা কিডনি সুস্থ্য থাকার লক্ষণগুলো নিয়ে আপনাদের সাথে আলচনা করবো।

স্বাভাবিক প্রস্রাবঃ

প্রস্রাবের মাধ্যমে বর্জ্য বের করে দেয়া কিডনির অন্যতম একটি কাজ। সুস্থ্য কিডনি দিনে প্রায় ১ থেকে ২ লিটার মূত্র তৈরি করে। প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক থেকে কম বা বেশি হওয়া কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।

মূত্র পরিষ্কার থাকাঃ

সুস্থ্য কিডনি পরিষ্কার ও হালকা হলুদ মূত্র তৈরি করে। মূত্রের রঙ কালচে, ফেনাযুক্ত ও দুর্গন্ধময় হলে বুঝতে হবে যে কিডনিতে সমস্যা হয়েছে।

ব্লাড প্রেশার স্বাভাবিক থাকাঃ

কিডনি ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে এক ধরণের হরমোন তৈরি করে যা রক্তনালি সংকুচিত ও প্রসারিত করার কাজ করে। যদি ব্লাড প্রেশার সবসময় স্বাভাবিক থাকে, তাহলে বুঝতে হবে কিডনি ভালো আছে।

দেহে ফোলা ভাব না থাকাঃ

কিডনি দেহে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিডনি সুস্থ্য থাকলে দেহের বিভিন্ন স্থানে যেমন পায়ে, পায়ের পাতায়, গোড়ালিতে, হাতে তরল জমে এমন কোন ধরণের ফোলা ভাব থাকবে না।

ব্যথা বা অস্বস্তি না থাকাঃ

সুস্থ্য কিডনি স্বাধারনত ব্যথা বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে না। তবে আপনি যদি কোমরের নিচে ও পাশে এবং তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে এটি কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।

ব্লাড টেস্ট রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকাঃ

ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে রক্তে থাকা ক্রিয়েটিনিন এবং ব্লাড ইউরিয়া নাইট্রোজেন লেভেল দেখে কিডনি সুস্থ আছে কি-না তা বোঝা যায়। এসব ব্লাড টেস্ট এর ফলাফল স্বাভাবিক থাকলে বুঝতে হবে কিডনি ভালো আছে।

ইলেক্ট্রোলাইট লেভেল স্বাভাবিক থাকাঃ

কিডনি দেহের বিভিন্ন ইলেকট্রোলাইট যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর মাত্রা স্বাভাবিক থাকলে বুঝতে হবে কিডনি ভালো আছে।

শেষে বলা যায়, সর্বোপরি সুস্বাস্থ্যের জন্য কিডনি ভালো থাকার লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। যদি আপনি আপনার প্রস্রাবে পরিবর্তন, রক্ত চাপে পরিবর্তন, ফোলা ভাব অথবা ব্যথা কিংবা অস্বস্তি অনুভব হয় তবে অবশ্যই দ্রুত একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। কিডনি সুস্থ্য রাখা আমাদের সর্বোপরি সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *